গত ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৩ ‘আকাশের ওপারে আকাশ’ বইটি শেষ করেছি, আলহামদুলিল্লাহ। প্রথমতঃ কিশোর-তরুণ সমাজে এই বই পড়তে আমি শুধু সাজেস্টই করবো না, এই বই পড়ার জন্য রীতিমতো তাদেরকে বাধ্য করবো। যদি কেউ বইটি কেনার সামর্থ্য রাখে তবে, তার এই বই কেনাটা অবশ্যই উচিৎ। কেননা, বইয়ের মধ্যে যে লেখার রচনাশৈলী; তা খুবই চমকপ্রদ এবং চিন্তা-ভাবনার একটি নতুন জানালা খুলে দেবার যোগ্য। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কয়েকটা যুগান্তকারী আত্মশুদ্ধির বই তোমাকে সাজেস্ট করবে এই একটা বই। আমাদের এই সমাজ তথাকথিত প্রগতিশীলদের কৌশলতার খপ্পরে পড়ে ধীরে ধীরে যে চুড়ান্ত অবক্ষয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সে দিক থেকে ফিরে আসার এখনো অনেক সময়-সুযোগ রয়েছে। তা অপব্যায় না করে বরং আমাদের এখন উচিৎ হবে তাদের কাছে গিয়ে এই বইয়ের মাধ্যমে শিশুদের ন্যায় নসিহাত দেওয়া। এখন আমি বইটির বেশ কয়েকটি অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং এর ব্যাপারে আমার চিন্তাধারা দিবো। যা পড়ার পর আপনি (সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারি) বইটি কেনার আগ্রহ এবং কৌতূহল, দোনোটাই পাবেন, ইনশাআল্লাহ।
সখী, ভালবাসা কারে কয়?:-
এই অধ্যায়টি আপনাকে অবগত করবে; ‘প্রকৃত’ অর্থে যাকে ভালবাসা বলে, তা আল্লাহর অপূর্ব এক নি’আমত। Secularist বুদ্ধিজীবীগণ ভাষার সূক্ষ্ম প্যাঁচ দেবার মাধ্যমে আমাদের মাথায় এই মিথ্যাটি গেঁথে দিয়েছে যে, মোহ বা ভালোলাগার ব্যাপারটিই বোধ হয় ভালবাসা। আমার বক্তব্য হচ্ছে; আমাদের কিশোর-সমাজ, যারা এটিকে সম্পূর্ণ বাস্তব বলেই বিশ্বাস করে নিয়েছে, তাদেরকে এই (ভালবাসা এবং ভালোলাগার মধ্যকার) মৌলিক পার্থক্য অবশ্যই জানানো উচিৎ। কেননা তারা গান, সিনেমা, কবিতা, ইত্যাদির মাধ্যমে পাঠানো বার্তাসমূহের কারণে এই ভুল ধারণা নিয়ে রেখেছে।
আলকেমি:-
আদম থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত একটি চিরন্তন সত্য তোমাকে ধরিয়ে-বুঝিয়ে দিবে। সেটি হচ্ছে; নির্জন স্থানে নারী-পুরুষের মধ্যে সবসময়ই কোন না কোন এক পর্যায় প্রেমের রসায়ন তৈরি হয়। এই চিরন্তন সত্য কখনোই আড়াল করা সম্বব না, যত সহস্র পবিত্রতার কাপড়েই মোড়ানো হোক না কেন। আমার বোধহয়, এটি তাদের অবশ্যই পড়া উচিৎ যারা জাস্ট-ফ্রেন্ড, অনলি-ফ্রেন্ড, হাফ-ফ্রেন্ড কালচারে বিশ্বাসী। একটি কথা মাথায় গেঁথে রাখ, নারী পুরুষের ফ্রেন্ড হওয়া মানে সেই প্রেমের রসায়নের জন্য একটি আলগা অযুহাত তৈরি করা।
মিথ্যায় বসত:-
‘প্রগতিশীল’ সেকিউলারিস্ট ভদ্রলোকেরা গান, সিনেমা, নাটক, সিরিয়াল, ভিডিও গেমস, সাহিত্য, রুপকথা, ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের যেই (মিথ্যা) শিক্ষা, ধারণা এবং আশা দিয়েছে; তার উপর ভিত্তি করে আমরা যেরকম ভাবে ভুল জীবনযাপন করছি। সেটা হাতেনাতে সরাসরি চোখের সামনে ধরিয়ে দেখাবে এই অধ্যায়টি। এসব অবাস্তব মাধ্যমে যারা বুঁদ হয়ে থাকে, তাদেরকে নতুন করে ভাবাবে লেখাটি।
ওর সাথে পালালাম:-
প্রেম করে পালানোর প্রবণতা আজকাল ছেলে-মেয়েদের অনেক বেশি। একটি মাঝারি আকারের গল্প পড়ে তোমাকে এই উপলব্ধি করাবে যে, পালানোর ফলশ্রুতিতে তোমার পরিবার-স্বজন (যারা প্রকৃত অর্থেই তোমাকে ভালবাসে) কতটা কষ্টের মুখোমুখি হয়। বিশেষ করে তোমার বাবা-মা সবচেয়ে বেশি এই অভিশপ্ত কষ্টের সম্মুখীন হয়। প্রেমের দোহাই দিয়ে পালানোর ইচ্ছে এই গল্প পড়ে নিমিষেই পালিয়ে যাবে।
প্রেম কয়েদি:-
প্রেম করা যে নিজের খাঁচা তৈরি করে আবার নিজেকেই তার মধ্যে আটকিয়ে দেবার মতো একটি ব্যাপার, তা এই অধ্যায় পড়ে অবগত হতে পারবে।আত্মবন্দী হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি বহু ধরণের নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করে।
ঘুণপোকা:-
প্রেমের ব্যর্থতার কারণে সমাজে অগণিত মানুষ নানান অপরাধে এবং অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। এসব কর্মকান্ডে অভ্যস্ত হবার ফলে (এবং হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে) তারা অজান্তেই অনেক সামাজিক জটিলতার তৈরি করে দুর্বিষহ পরিণামে ভোগে।
মুখোশ:-
বর্তমান প্রযুক্তি-যুগের অবদানের ফলে আজকাল সামাজিক মাধ্যমে যে কেউ, যখন-তখন, যেকোনো জায়গা থেকে মিথ্যা পরিচয়ের একটি মুখোশ পড়ে তার নিজের ইচ্ছামতন বিচরণ করতে পারে। যার ফলে তৈরি হয় নানা ধরণের সামাজিক অস্থিরতা, বিকৃতি, অন্যায়, ধোঁকাসহ আরও অনেক নেতিবাচক পরিণাম; যেগুলোর সম্মুখীন হয় ভুক্তভুগীরা।
শরীরে বৃষ্টির মতো মোহ:-
এই প্রগতিশীল বিশ্বে ভার্চুয়াল মাধ্যম আমাদের জ্ঞান দিচ্ছে যে জীবন একটাই, মজ মাস্তিতে মগ্ন থাকো। তার সাথে নাস্তিক্যবাদের-লজিকও দিচ্ছে, “মাই লাইফ, মাই রুল্স“। বা, “মাই বডি, মাই চয়েস“। দেখো, আল্লাহ আমাদের যেহেতু ইবাদাতের খাতিরে দুনিয়াতে পাঠিয়েছে এবং পরিক্ষা করছে যে আমাদের মধ্যে কে কর্মে উত্তম, সেহেতু আমাদের কখনোই উচিৎ হবে না এসব ডায়লগ ঝেড়ে আল্লাহর অকৃতজ্ঞ হওয়া। আমাদের (প্রকৃত মু’মিনদের) কিন্তু সার্বিক-স্বাধিনতা নেই, আল্লাহর প্রতি আমরা সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পিত। এসব সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য এই অধ্যায়ের মধ্যে লিপিবদ্ধ।
আলেয়া:-
যৌনতার স্বাদ পাবার আগে (মানো বা না মানো) স্বচরিত্র রক্ষা করা আহামরি কোন কঠিন কাজ নয়, চাইলেই এই সু-অভ্যাসটি গড়া যায়। কিন্তু, তার স্বাদ পাবার পরবর্তী সময় তোমার জীবন বিষাক্ততায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সবসময় পরপর সমানে একেকজনের শরীরের স্বাদ পাবার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা তোমার মাথেয় ঘুরঘুর করতে থাকে যার কারণে তুমি দীর্ঘমেয়াদী অস্থিরতায় ভুগো। এই অধ্যায়টি সেই মানসিক জটিলতাটিই তোমার সামনে শক্তিশালী লজিক হিসেবে তুলে ধরবে।
কাছে আসার আরেক গল্প:-
বিকৃতিতে ভরা সমাজ আমাদের শিখায়, অবৈধভাবে কাছে আসার পরিণতি সামলাতে গর্ভপাত করা একটি (তথাকথিত) ‘মানবধিকার’। এই ‘মানবধিকার’-এর ফলস্বরূপ দিনদিন যে পরিমাণ খুন ঘটছে, ইতিহাসে এতো পরিমাণ খুন কোনদিনই ঘটেনি (হিটলারের চেয়েও বহুগুণে) একবার চিন্তা করে দেখুন তো, আমাদেরকে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে ওঠানোর জন্য তারা আমদেরকে বানিয়েছে নিজেদের সন্তানদের উপরই ঘাতক (সেই সন্তান জারজও হোক না কেন), নিজেদের শরীরের অংশ এভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করা কতটা নিকৃষ্ট পাপের আগুনে দগ্ধ করে এবং তীব্র অনুতপ্তের আগুনে পোড়ায় তা কেবল তারাই জানে যারা এসব অভিশপ্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। অধ্যায়টি পড়লে জঘন্য এসব স্বসন্তানের হত্যাকাণ্ড তোমাকে একশবার ভাবাবে।
অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো…? :-
বিবাহবহির্ভূত প্রেম আর আন্তঃবিবাহিক ভালবাসার মধ্যে যে আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে, তার সুধারণা তুমি অবশ্যই পাবে এখান থেকে। মনে প্রশ্ন অবশ্যই জাগতে পারে, “দুজন অপরিচিত ব্যাক্তিদের মধ্যে ভালবাসা কিভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়? প্রেম করে বিবাহ করলেই তো হয়ে যায়।” আসলে, প্রেমের বিবাহটাই ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। অসংখ্য জরিপে তুমি দেখতে পারবে বেশির ভাগ তালাকই হয় এসব প্রেমের বিবাহতে। আবার তোমাকে এই বিষয়ও (সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিকভাবে) অবগত করবে যে সাধারণত দুজন অপরিচিত ব্যাক্তিদের মধ্যে বাস্তবেই কিভাবে ভালবাসা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে।
বিপ্লব ও অবক্ষয়:-
আমেরিকান এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির জীবনধারা দেখে আমরা স্বভাবগতভাবেই মুগ্ধ হয়ে যাই। ফালতু আবেগ দেখিয়ে বলি, “আমরা যদি ওদের মতো হতাম!”। ১৯৬০-১৯৮০ দশকের দিনগুলো ‘যৌন বিপ্লব’ নামে পরিচিত। এই বিপ্লবে পশ্চিমা অগ্রবাদি জনগণ নারীদেরকে তথাকথিত ‘নারী স্বাধিনতা’-নামে এই বার্তা দিয়েছিলো, “তোমরা কেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিজেদেরকে ঘরে আটক করে রাখো? তোমাদের এখন সময় হয়েছে তাদেরকে বলার যে, আমরাও অনেক কিছু করতে পারি। পারিবারিক পর্যায় সীমাবদ্ধ না থেকে তোমাদের উচিৎ ক্যারিয়ারে মনোযোগ দেওয়া। পুরুষদের মতোই যা ইচ্ছা তাই করে বেড়ানো…” ইত্যাদি। যেখানে ইসলাম অলরেডি নারীদের যথাযথ সম্মানের সুব্যবস্থা করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এলজিবিটিকিউ লিগালাইয করে সমাজে প্রচারও করেছিলো তারা, নাম দিলো মানবধিকার। যেখানে লুত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের বিকৃতি আবারও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে (শুধু একটি জাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বর্তমান যুগে) গোটা বিশ্বে। ‘বিজ্ঞানীদের গবেষণা‘-নাম দিয়ে সম্প্রচার করেছে অবৈজ্ঞানিক (ও একদমই অবাস্তব) অনেক মিথ্যা রিপোর্ট এবং জরিপ। এসব ইতিহাস ক্রমান্বয়ে বিস্তারিত জানতে পারবে এই অধ্যায়ের মধ্যে।
অগ্ন্যুৎসব:-
আজ পশ্চিমা-বিশ্ব টের পাচ্ছে তারা সমানে কতটা জুলুম চালিয়েছে নিজেদের প্রতি। এখন যেহেতু উপলব্ধি করে কোন ফায়েদা নেই, (সঠিকপথে ফেরার বেলা ফুরাবার কারণে) সেহেতু এখন সেই স্থানে চলছে হারেক ধরণের তিক্ত পরিণতি; বিষণ্ণতা, বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মহত্যা, ধর্ষণ, খুনসহ নানা অপরাধে কোন না কোনভাবে জড়িত পুরো জাতি। অবাধ যৌনতার বাটারফ্লাই ইফেক্ট গোটা অ্যামেরিকান সভ্যতাকে জারজ বানিয়ে ছেরেছে। এরকম বাধ্যবাধকতা ছাড়া যৌনৎসব বৈধ করবার ফলে আরও যে কী কী ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, সেই পরিণতির লিস্ট এই অধ্যায় থেকে জানা যাবে।
কলুষতার কারিগর:-
আমাদের বর্তমান বিশ্বতে এখন পুরোদমে চলছে কলুষতা স্থায়ীভাবে স্থাপন করা। কারণ, এই মাধ্যম দিয়ে আমদেরকে মানসিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ফলে তাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা ও লাভ হবে। গোটা রাস্ট্রকে যুদ্ধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কলুষতা এবং অশ্লীলতা ছড়ানোই একমাত্র উপায়, যতই যিকির করা হোক না কেন যে এটি শুধু ব্যক্তি পর্যায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কলুষতার এই কারিগরেরা আন্তর্জাতিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে (আমাদের দেশ, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে) কী কী ভূমিকা পালন করে আসছে বিগত অর্ধ- শতাব্দী ধরে, তার দীর্ঘ-প্রক্রিয়া পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে পারবে এটি পড়ে।
হাতের মুঠোয় মরীচিকা:-
অবৈধ প্রেমের এসকল ফাসাদ দেখে নিশ্চই একটি (দুর্বল) যুক্তি খারা করবে, “আমি তো দেখি অনেকেই প্রেমে সফল হয়ে বিবাহ করে সুখে শান্তিতেই আছে… ব্লা ব্লা ব্লা”। তা অবশ্যই ঠিক কিন্তু, সাধারণ নিয়ম হচ্ছে; যে বিবাহপূর্বক প্রেম করে, (যা কিনা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম) সে জীবনে কোন না কোন এক সময় চরমভাবে পস্তাবে। নিয়মের তো সবসময়ই মাঝেমাঝে ব্যাতিক্রম থাকে, সেই ব্যাতিক্রম কখনোই নিয়মকে পরিবর্তন করে না; এক্ষেত্রেও তাই। ভাগ্য খুব খারাপ হলে জীবনে না ভুগলেও আখিরাতে ঠিকই চরম পস্তানির শিকার হবে।
এ কেমন বোকামি? :-
হারামের অতি সাময়িক আনন্দের জন্য স্বেচ্ছাকৃত বোকামি করা কখনোই কাম্য নয়, সে ব্যাপারে যথাযথ জ্ঞান দিবে।
জানিলাম এ জীবন স্বপ্ন নয়:-
জীবনের সর্বসময়ই পারিবারিক, আত্মিক, সামাজিক অনেক পরিবর্তন (উত্থান-পতন) ঘটিয়ে থাকে। মাঝেমাঝে তা হয় উৎকৃষ্ট, মাঝের মধ্যে নিকৃষ্ট। সকল মানুষই এসব পরিস্থিতি মুখোমুখি হয়। উচ্চ আনন্দে, রাগান্বিত অবস্থায় কিংবা কষ্টভরা মনে নিয়ে নেয় ভুল সিদ্ধান্তগুলো যা ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তৈরি করে আরও কঠিন জটিলতা বা ডেকে আনে পুনঃকষ্ট। জীবনের এই অদ্ভুত-আশ্চর্য পথচলার আলোচনা এই বক্তব্যে।
ফিরে আয়:-
ছোটবেলা ও কৈশোরের সেই পুরনো সোনালী স্মৃতিসমূহের কথা স্মরণ করানোর মাধ্যমে ফিরে আসার একটি দামী আহ্বান।
Comments
Post a Comment